নতুন রাষ্ট্রপতি কে হবেন?

নতুন রাষ্ট্রপতি কে হবেন?

Brand Bazaar

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই দুটি সাংবিধানিক পদে নিয়োগ দিতে হবে সরকারকে। বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার পদত্যাগের পর প্রধান বিচারপতি পদ শূন্য আছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি আব্দুল ওয়াহ্‌হাব মিঞা ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রধান বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকা সরকার চলতি বছরের শুরুতেই নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেবে।

আগামী ২ জানুয়ারি অবকাশের পর সুপ্রিম কোর্ট খুলছে। এ সময় অধস্তন আদালতের বিচারকদের আচরণবিধির গেজেটের ব্যাপারে আপিল বিভাগ তাঁদের সিদ্ধান্ত জানাবে। এই সিদ্ধান্তের ওপর প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টি অনেকখানি নির্ভর করছে। আপিল বিভাগ যদি ওই গেজেট গ্রহণ করে সেক্ষেত্রে ওয়াহ্হাব মিঞাকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগদানের সম্ভাবনা বেশি বলেই সরকারের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে ওই গেজেট নিয়ে জটিলতা হলে সরকার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হাসানকেই প্রধান বিচারপতি করার পথে হাঁটবে। তিনি এখন আপিল বিভাগের দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ বিচারপতি।

নতুন রাষ্ট্রপতি কে হবেন?

প্রধান বিচারপতির চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সরকারকে নিতে হবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে। বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২২ এপ্রিল। সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নিশ্চিত করেছেন দ্বিতীয় মেয়াদে আবদুল হামিদের রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনয়নের সম্ভাবনা খুবই কম। সরকারের নীতি নির্ধারক মহলে রাষ্ট্রপতি হিসেবে একাধিক ব্যক্তির নাম ভাবা হচ্ছে। এদের মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, প্রধামন্ত্রীর রাজনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নাম অন্যতম।

তবে সৈয়দ আশরাফ রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণে আগ্রহী নয় বলেই জানা গেছে। ঘনিষ্ঠদের তিনি বলেছেন, এজন্য তিনি প্রস্তুত নন। নীতি নির্ধারকদের পছন্দ ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশরাফ হোসেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর বেয়াই। তাঁর নিয়োগ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া হয় কিনা কিংবা জাতীয় ভাবে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আওয়ামী লীগের নীত নির্ধারকরা কিছুটা দোটানায়। সেদিক থেকে অনেক এগিয়ে আছেন ড. গওহর রিজভী। বিশেষ করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এই পদে ড. রিজভী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন বলে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড মনে করছে। বিএনপি যদি সহায়ক সরকার নিয়ে অনঢ় অবস্থানে থাকে তাহলে আন্তর্জাতিক মহলে দেন দরবারে ড. রিজভী ভালো ভূমিকা রাখতে পারবে বলে সরকারের কেউ কেউ মনে করছেন। নতুন বছরের শুরুতেই এই বিষয়গুলো খোলামেলা হবে বলে জানা গেছে। সূত্র-বাংলা ইনসাইডার

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment